খুব একটা ঠান্ডা না লাগলেও তবুও ঘন ঘন কাশি হচ্ছে। কোন মতেই কাশি সেরে উঠছে না। এমন কাশি হলে প্রথমে সকলেই সাধারণ সর্দি কাশি বলেই মনে করেন। একইভাবে তেমনটাই ভেবেছিলেন দত্ত পরিবার। দত্ত পরিবারের সদস্য বিজন দত্ত ঘনঘন কাশির সমস্যায় ভুগছিলেন। বহুবার ডাক্তার দেখানো হয়েছিল তাকে। কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান হয়নি। এরপর বিজন বাবুর ছেলে বিজন বাবুকে নিয়ে যান বড় হাসপাতালে।
ব্যাস, সেখানেই ডাক্তার সন্দেহ করেন, বিজন বাবু হয়তো ক্যান্সারের আক্রান্ত। শেষমেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বোঝা যায় যে,ফুসফুসে ক্যান্সার হয়েছে তাঁর। ক্যানসারের স্টেজ থ্রি বা ফোর। ঠিক ওই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে ক্যান্সারের চিকিৎসার বিকল্প খুবই কম। ভারতবর্ষে প্রায় সাত শতাংশের বেশি মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সারে ভোগেন। সব ক্ষেত্রেই ক্যান্সারের স্টেজ থ্রি বা ফোর যখন আসে তখনই বিষয়টি ধরা পড়ে। এবার এক অত্যাধুনিক পদ্ধতি নিয়ে হাজির হলো অ্যাপোলো হাসপাতাল।
ফুসফুসের ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। কিন্তু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যে ফুসফুসের ক্যান্সার দেখা যাচ্ছে, তা এশিয়া এবং পশ্চিমের রোগের থেকে ব্যতিক্রম বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষ করে ভারতে যাঁরা ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে দেশের জটিল এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ জনবিন্যাস রোগের জিনগত গঠনের উপর প্রভাব ফেলছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে রাজ্যবাসীর জন্য এবার সম্প্রতি অ্যাপোলো হাসপাতালে শুরু হল লো ডোজ স্ক্রিনিং টেস্ট। এই টেস্টের সহায়তায় দেখা গিয়েছে যে, অতি সহজেই ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি গণনা করা সম্ভব হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যারা ১৫ থেকে ২০ বছর বয়স থেকেই ধূমপান করছেন, তারা যেন ৫০ বছর বয়সের পর একবার করে স্ক্রীনিং করিয়ে নেন। এটা ভীষণ জরুরী। তবে দ্রুত ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে কিনা পরিমাপ করা যায়।