উত্তর প্রদেশের হাথরাস জেলার বুলগারহী গ্রামে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ১৯ বছরের এক তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় শোকাবহ পরিস্থিতি এখনও সজীব। নির্যাতিতা ওই তরুণী মারা যাওয়ার পর আজ পর্যন্ত বহু বছর কেটে গেছে। এরই মধ্যে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী হঠাৎ করেই হাথরাসের নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছান। তাঁর এই সফর ছিল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত, যা প্রশাসন ও পুলিশকে অবাক করে দেয়।
রাহুল গান্ধী নির্যাতিতার পরিবারের সাথে প্রায় ৪৫ মিনিট আলোচনা করেন। সিআরপিএফের পক্ষ থেকে ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর বেলা ১১.৩০ মিনিট নাগাদ রাহুল নির্যাতিতার বাড়িতে প্রবেশ করেন। হাথরাসে এই ঘটনা স্মরণ করে, কংগ্রেস নেতা পরিবারকে সহানুভূতি জানাতে সেখানে উপস্থিত হন।
২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর হাথরাসে ঘটে ১৯ বছরের ওই তরুণীর গণধর্ষণ। তাঁকে প্রথমে আলিগড় ও পরে দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়, কিন্তু ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান। এরপর রাতেই পরিবারের সম্মতি ছাড়াই পুলিশ তরুণীর শেষকৃত্য করে।
এই ঘটনায় চার অভিযুক্তের মধ্যে সন্দীপ নামক এক যুবক এখনও জেলে রয়েছেন, তবে অন্য তিনজনকে ২০২৩ সালের ২ মার্চ মুক্তি দেওয়া হয়। পরিবার অভিযোগ তুলেছিল যে পুলিশ অভিযোগ গ্রহণে বিলম্ব করেছে এবং তাদের সম্মতি ছাড়াই দেহের শেষকৃত্য করা হয়েছে।
তবে, সম্প্রতি পরিবারের সদস্যরা দাবি করছেন যে তাঁদের বাসস্থানের চারপাশে সিআরপিএফ নিরাপত্তা থাকায় তাঁরা যেন “জেলবন্দি” হয়ে আছেন। তাঁরা সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুত সকল সাহায্যের আশায় দিন গুনছেন।