হিন্দু বিবাহ সর্বদাই পবিত্র বন্ধন এবং পরিবারের ভিত্তি হিসাবে বিবেচিত, যা কখনোই বাণিজ্যিক প্রকল্প হিসাবে ব্যবহার করা উচিত নয়। মহিলাদের কল্যাণের জন্য যে কঠোর আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, তা স্বামীদের হেনস্থা বা টাকা আদায়ের হাতিয়ার হতে পারে না। এমনই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বৃহস্পতিবার একটি মামলার রায়ে বিচারপতি বি ভি নাগারত্না এবং বিচারপতি পঙ্কজ মেহতার বেঞ্চ স্পষ্ট করে জানায়, খোরপোষ শুধুমাত্র মহিলাদের সম্মানজনক জীবনযাপনের জন্য দেওয়া হয়, তাঁদের পূর্ববর্তী জীবনের বিলাসিতা বজায় রাখার জন্য নয়। আদালত আরও জানিয়েছে, কোনও ব্যক্তি তাঁর আর্থিক পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রাক্তন স্ত্রীর খোরপোষের দায়ভার নিতে বাধ্য হতে পারেন, তবে তা অনন্তকালের জন্য নয়।
এই মন্তব্যের পটভূমিতে রয়েছে তরুণ প্রযুক্তিবিদ অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনা। বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা অতুল তাঁর শেষ চিঠি ও ভিডিয়ো বার্তায় প্রাক্তন স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে খোরপোষের নামে অত্যাচারের অভিযোগ এনেছিলেন। অতুলের আত্মহত্যার পর একাধিক একই ধরনের ঘটনা সামনে এসেছে, যা সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিন আদালত এক মামলার নিষ্পত্তি করে ১২ কোটি টাকার চূড়ান্ত খোরপোষ দিতে নির্দেশ দেয়। তবে প্রাক্তন স্ত্রী আরও বেশি অর্থ দাবি করলে আদালত তা নাকচ করে। আদালত জানায়, স্বামীর সম্পদের অর্ধেক দাবি করা আইনত গ্রহণযোগ্য নয়।
বিচারপতিরা বলেন, “আইনের অপব্যবহার করে কাউকে হেনস্থা করা কখনই সমর্থনযোগ্য নয়। মহিলারা আইনকে তাঁদের কল্যাণের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবেন, কিন্তু তা স্বামীদের শাস্তি দেওয়ার অস্ত্র হতে পারে না।”
