বাংলাদেশে আবারও মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, যা দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি ময়মনসিংহ ও দিনাজপুরে একাধিক মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টার এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার দুটি মন্দির এবং দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বাড়ি শ্মশান কালী মন্দিরে এই হামলা চালানো হয়।
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার ওসি মহম্মদ আবুল খায়ের জানিয়েছেন, শুক্রবার শাকুয়াই ইউনিয়নের বন্দেরপাড়া মন্দিরের দুটি মূর্তি ভাঙচুর করা হয়, তবে এখনও পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে, বিলডোরা ইউনিয়নের আরেকটি মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় আলালউদ্দিন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি নিজের দোষ স্বীকার করেছেন এবং আদালতে পেশ করার পর তাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বাড়ি শ্মশান কালী মন্দিরে পাঁচটি মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে, যার পর প্রতিবাদ জানিয়েছেন মন্দির কমিটির সভাপতি জনার্দন রায়। স্থানীয় পুলিশ অফিসার আবদুল গাফুর জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।
এদিকে, এসব ঘটনা এমন একটি সময়ে সামনে এসেছে, যখন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর ২,২০০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই পরিসংখ্যানের পর বাংলাদেশ সরকার এই তথ্যকে অতিরঞ্জিত বলে দাবি করেছে, এবং জানানো হয়েছে যে এই হামলাগুলো মূলত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ঘটেছে।