মুকুন্দপুর এলাকায় বেসরকারি হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের প্রশ্ন,বাংলাদেশি অ-হিন্দু রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা কেন দেওয়া হচ্ছে এই হাসপাতালে? ‘স্যালুট তিরঙ্গা’র ব্যানার সঙ্গে নিয়ে মুকুন্দপুর এলাকায় মিছিল করেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারী বিজেপি নেতারা এবং প্রতিবাদীরা বেসরকারি হাসপাতালে বাংলাদেশ থেকে আসা অহিন্দু রোগীদের চিকিৎসা যাতে না করা হয় তার দাবী জানান। ইতিমধ্যেই বেসরকারি হাসপাতালে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন তারা, বলে খবর।
বিক্ষোভকারী গোষ্ঠীর সদস্য নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন,”দেশ সবার আগে… সেখানে আমাদের ভাই-বোনদের নির্যাতন করে হত্যা করা হচ্ছে। তাই অহিন্দু বাংলাদেশিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত নয়। আমাদের জাতি, তিরঙ্গার সম্মানের জন্য আমাদের নৈতিকতা এবং ব্যবসাকে একপাশে সরিয়ে রাখার সময় এসেছে। বাংলাদেশে আমাদের সংখ্যালঘু হিন্দু ভাই-বোনদের সঙ্গে যা ঘটছে তাতে আমরা ব্যথিত। তাদের নির্যাতন করে হত্যা করা হচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।”
ইতিপূর্বে একটি হাসপাতাল বাংলাদেশ থেকে রোগীদের ভর্তি না করার কথা ঘোষণা করেছিল। অশান্তির মধ্যে ভারতের জাতীয় পতাকার প্রতি যে অসম্মান করা হয়েছে তার প্রতিবাদ জানাতেই এই পদক্ষে গ্রহণ করা হয়েছে। কলকাতার আরো একটি হাসপাতাল ঠিক একই ঘোষণা করেছিল। শুধু তাই নয় কলকাতার দুটি বড় মেলা অর্থাৎ কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা এবং বিধান নগর পৌর সংস্থার আয়োজিত বিধাননগর মেলা উৎসবে বাংলাদেশের কোন স্টল এই প্রথমবার রাখা হয়নি। কলকাতায় ৩০তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রতিনিধিত্ব করেনি প্রতিবেশী দেশ।
শুধু তাই নয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হওয়া সত্ত্বেও ক্যাম্পাসের সশরীরে যেতে বারণ করা হয়। আমন্ত্রিত বাংলাদেশীরা চলেও এসেছিলেন কলকাতায়। তবে হোটেল থেকে ভার্চুয়ালি যোগদান করতে বলা হয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে। আশঙ্কা করা হয়েছিল যে, বাংলাদেশি ডেলিগেটরা যদি ক্যাম্পাসে আসেন, তাহলে অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে। তাই সশরীরে আসতে দেওয়া হয়নি।