সিকিমের পর্যটন মরশুমে ফের বড় ধাক্কা। রবিবার প্রবল ভূমিধসের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে লাচেন-চুংথাং যাতায়াতের পথ। মঙ্গন জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ওই রুটে পর্যটকদের কোনো পারমিট ইস্যু করা হবে না।
শুক্রবার থেকেই চুংথাং-লাচেন অঞ্চলে ভূমিধস শুরু হয়। শনিবার রাস্তায় বিশাল পাথর আর মাটির স্তূপ জমে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। রবিবার সকালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায়, লাচেন ও চুংথাং অঞ্চলে পর্যটক যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশে আটকে পড়া পর্যটকদের গ্যাংটকে ফেরানো হয়েছে।
এদিকে, পূর্ব সিকিমের ছাঙ্গু উপত্যকা ও নাথুলা সীমান্তে ভারী তুষারপাতের খবর মিলেছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিম শাখার অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা জানিয়েছেন, “অব্যাহত তুষারপাতের কারণে পর্যটকদের আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছিল।”
২০২৩ সালের লোনার্ক হ্রদ বিপর্যয়ের পর পর্যটনের উন্নতির আশা করছিলেন ব্যবসায়ীরা। ২০২৪ সালে ভরা মরশুমে পর্যটন ফের ঘুরে দাঁড়াবে এমনটাই মনে করা হচ্ছিল। তবে এই ভূমিধসের ঘটনায় সেই আশা আবার মলিন হয়ে গেল।
মঙ্গন জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, রাস্তাগুলি পরিষ্কার করতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। ততদিন পর্যটকদের লাচেন ও চুংথাং ভ্রমণে পারমিট দেওয়া হবে না। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এবং পর্যটকরা হতাশ। তুষার চাদরে মোড়া সিকিমের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য যারা আগেই পরিকল্পনা করেছিলেন, তাদের অনেকেরই এখন সফর বাতিল করতে হবে।