বড়দিনের আগে রাজ্যের আবহাওয়া নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। মিঠে রোদে কমলালেবু খাওয়ার মেজাজ নষ্ট করে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি আর মেঘলা আকাশ বিরাজ করছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে ঠান্ডা কমে গিয়ে শীতের আমেজ যেন হারিয়ে গিয়েছে।
আফগানিস্তানে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার ফলে উত্তর-পশ্চিম ভারতে সক্রিয় হয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। পঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে হালকা বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা বেড়েছে। এর প্রভাব দক্ষিণবঙ্গেও পড়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, মেঘ কেটে গেলেও বায়ুমণ্ডলে থাকা জলীয় বাষ্পের কারণে জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা আপাতত নেই। কলকাতায় আগামী কয়েকদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ থেকে ২৬ ডিগ্রির মধ্যে থাকতে পারে। নতুন বছরে জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
উত্তরবঙ্গে শৈলশহর দার্জিলিংয়ে তুষারপাত হতে পারে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং মালদা জেলায় ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারে নামতে পারে।
এদিকে দেশের রাজধানী দিল্লি কুয়াশার চাদরে ঢাকা। সোমবার দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। হালকা বৃষ্টির সঙ্গে তীব্র ঠান্ডায় মানুষ কাবু।
সপ্তাহের শেষে দক্ষিণবঙ্গে শীতের আমেজ কিছুটা ফিরতে পারে বলে আশা করা হলেও, বড়দিনে জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা কার্যত নেই।