কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে এবার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এই হাসপাতালের সুপার থাকাকালীন আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, তাঁর ঘনিষ্ঠ দুই ঠিকাদার সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিনহার মাধ্যমে একাধিক বেআইনি টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে।
সিবিআইয়ের চার্জশিট অনুযায়ী, সন্দীপ ঘোষের সময় ২০১৭–১৮ অর্থবছর থেকে ২০২২–২৩ অর্থবছর পর্যন্ত সুমন এবং বিপ্লবের কোম্পানিগুলি প্রায় ১ কোটি ১৭ লক্ষ টাকার বেশি টেন্ডার পেয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই সময় বিপ্লবের নামে এবং বেনামে ১১টি কোম্পানির খোঁজ মিলেছে।
২০১৭–১৮ অর্থবছরে মাত্র দুই লক্ষ টাকার টেন্ডার পেলেও পরবর্তী বছরগুলোতে টাকার পরিমাণ ক্রমশ বেড়ে যায়। ২০২০–২১ অর্থবছরে এই অঙ্ক পৌঁছায় প্রায় ৪৬ লক্ষ টাকায়। ২০২১–২২ অর্থবছরেও প্রায় ২২ লক্ষ টাকার বরাত পায় তাঁরা। তবে ২০২২–২৩ অর্থবছরে এই টেন্ডারের অঙ্ক কমে দাঁড়ায় ৩ লক্ষ টাকায়।
ইতিমধ্যেই সিবিআই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের কয়েকজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে। তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে নিজাম প্যালেসে। সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা, আর্থিক লেনদেন এবং পিছনের বেআইনি লাভের সূত্র খুঁজছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতির তদন্তে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা থেকেই এই তদন্তের সূত্রপাত। সিবিআইয়ের প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসা তথ্য ভবিষ্যতে এই মামলায় বড় চমক আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।