প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নাম উঠে আসায় তাদের অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পথে হাঁটছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ২৪ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় এজেন্সি আদালতে জানায়, এই সংস্থার তিনটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে থাকা ২.৭০ কোটি টাকা প্রাথমিকভাবে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতির অর্থ সরাসরি এই অ্যাকাউন্টগুলিতে জমা পড়েছিল। দিল্লির অ্যাডজুকেটিং অথরিটির কাছে এই অর্থ পাকাপাকিভাবে বাজেয়াপ্ত করার আবেদন জানিয়েছে ইডি।
এর আগে, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ৭ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকার স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। ইডির চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, শুধুমাত্র খাতায় কলমে ব্যবসা থাকা সত্ত্বেও এই সংস্থা সাইকেল সংস্থা সহ চারটি সংস্থার থেকে কয়েক কোটি টাকা পেয়েছে। বৈদ্যুতিক কেটলি, চশমা এবং কার্ডের ভুয়ো ইনভয়েস দেখিয়ে অর্থ আদায় করা হয়।
চার্জশিটে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উঠে এসেছে, যিনি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অন্যতম ডিরেক্টর। চার সংস্থা থেকে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস ২.৮৩ কোটি টাকা পেয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি।
নাম জড়িয়েছে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীর প্রতিষ্ঠানেরও। পঞ্চম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে উল্লেখিত ২৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য এবং অন্যান্য ঘনিষ্ঠরা।
ইডি দাবি করেছে, সাইকেল সংস্থার মালিক নবীনকুমার গুপ্ত এবং মনোজ মানহোতের মাধ্যমে ভুয়ো ইনভয়েস তৈরি করে অর্থ সরানো হতো। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সঙ্গে আরও কয়েকটি সংস্থা, যেমন বেঙ্গল মার্লিন হাউসিং লিমিটেড, গ্রিনটেক আইটি সিটি প্রাইভেট লিমিটেড, এবং মিনার্ভা ইনস্টিটিউটের নামও চার্জশিটে উল্লেখিত রয়েছে।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইডির নতুন চার্জশিটে এই ঘটনার জাল আরও জটিল হয়ে উঠছে।