মুর্শিদাবাদ জেলার মুর্শিদাবাদ ও নওদা বিডিওর ভোটার তালিকায় বাংলাদেশি জাতীয় শাদ রাদির নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে উত্তপ্ত বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে, কীভাবে একজন বিদেশী নাগরিকের নাম ভারতীয় ভোটার তালিকায় স্থান পায়, তা নির্ণয় করার জন্য।
প্রথমে যেখানে শাদ রাদির নাম ভোটার তালিকায় উঠেছিল, সেই নওদা বিডিওর কাছে জেলা প্রশাসন রিপোর্ট দাবি করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০২১ সালে দুর্লভপুর এলাকার তৃণমূলি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের প্রভাবিত প্রচেষ্টায় শাদ রাদির নাম ভোটার তালিকায় যোগ করা হয়েছিল। তবে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী আলতাব হোসেন মণ্ডল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা শাদ রাদিকে চিনি না। আমার স্ত্রী ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত সদস্য হন, আর তাঁর নাম ভোটার তালিকায় ২০১১ সালে ওঠে। প্রভাব খাটানোর দাবি ভিত্তিহীন।”
নওদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সইদুল ইসলাম মণ্ডল জানিয়েছেন, শাদ রাদি একজন বাংলাদেশী বাসিন্দা, যার নওদায় কিছু আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে ছোটখাটো ব্যবসা করত এবং যাতায়াত করত। “তার নাম ভোটার তালিকায় উঠা আমার জানা ছিল না। কীভাবে নাম উঠেছে তা বলতে পারি না, তবে তিনি স্থানীয় এক যুবতীর সাথে বিবাহিত ছিলেন, যিনি ওর আত্মীয় ও ভূমি রাজস্ব দফতরের কর্মীদের মাধ্যমে বিষয়টি জানাতে পারবেন,” মণ্ডল বলেন।
জেলা প্রশাসন এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়েছে এবং প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে। ভোটার তালিকায় বিদেশীদের নাম থাকা দেশের নিরাপত্তা ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসন স্থানীয় জনগণকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে তদন্ত দ্রুত শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, এই ঘটনা নির্বাচনী সময়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে এবং ভোটার তালিকার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।