তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন ফিরহাদ হাকিম। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হিডকোর চেয়ারম্যান পদ হারাতে চলেছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, হিডকোকে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীন থেকে সরিয়ে প্রশাসনিক সংস্কার ও কর্মিবর্গ দফতরের অধীনে আনা হবে। এই দফতর সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর অধীনস্থ। ফলে হিডকোর চেয়ারম্যান পদ থেকে ফিরহাদের অপসারণ এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
সূত্রের খবর, আগামী দিনে হিডকোর চেয়ারম্যান পদে বসতে পারেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে হিডকোকে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন মমতা। তারপর থেকে টানা ১৪ বছর ধরে চেয়ারম্যান পদে ছিলেন ফিরহাদ। তবে সম্প্রতি তার কিছু মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব বিব্রত। বিশেষ করে সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে তার দেওয়া বক্তব্য, যেখানে তিনি বলেন, “ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিরা দুর্ভাগ্যের শিকার,” এবং “আমার স্বপ্ন পশ্চিমবঙ্গের ৫০ শতাংশ মানুষ একদিন উর্দুতে কথা বলবেন,” তাতে দলের মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও, বিজেপির চাপ এবং আসন্ন ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন মমতা। হিডকোর উদ্যোগে তৈরি দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডে ফিরহাদের থাকার সম্ভাবনা নিয়ে রাজনৈতিক লাভের হিসাবনিকাশও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। সবমিলিয়ে, তৃণমূলের কৌশলগত পদক্ষেপে এবার কোণঠাসা হতে চলেছেন ফিরহাদ হাকিম।