নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি (ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) গত ২৬ ডিসেম্বর পার্থ চট্টোপাধ্যায়সহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে। ওইদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও চার্জশিটে নাম থাকা অন্যান্য অভিযুক্তরা। আদালত কক্ষে মুখোমুখি হন পার্থ ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, যদিও তাঁদের মধ্যে কোনো কথোপকথন হয়নি, পার্থ অর্পিতার দিকে তাকালেও অর্পিতা ছিলেন নির্লিপ্ত।
ইডি সম্প্রতি মামলায় পঞ্চম চার্জশিট দাখিল করে জানিয়েছে, বেনামে ফ্ল্যাট বুক করে কালো টাকা সাদা করতেন পার্থ। এর জন্য তিনি ইমপ্রোলাইন কনস্ট্রাকশনস প্রাইভেট লিমিটেড এবং এইচআরআই ওয়েলথ ক্রিয়েশন রিয়েলটর্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে দুটি সংস্থা তৈরি করেন। তদন্তে উঠে এসেছে, এই সংস্থাগুলোর ডিরেক্টর হিসেবে তিনি নিয়োগ করেছিলেন রাজীব দে, সুরঞ্জিতা জানা এবং নিজের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়কে। এই সংস্থাগুলোর মাধ্যমে কলকাতার বিভিন্ন ডেভেলপারের কাছ থেকে ফ্ল্যাট বুক করতেন পার্থ।
২০২২ সালের জুলাইয়ে গ্রেফতার হওয়া পার্থ এবং অর্পিতার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার করে ইডি। টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে ২১ কোটি এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে ২৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
পার্থ এখনও জেলে থাকলেও অর্পিতা ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের বয়ান গ্রহণের পর ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পার্থ জামিন পেতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে, সিবিআইয়ের অন্য একটি মামলায় পার্থ এখনও জামিন পাননি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতোমধ্যে একাধিক তৃণমূল নেতার নাম উঠে এসেছে এবং তদন্ত চলছে।