আজ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের কথা ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের। তবে গতরাতে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, সরকারই এই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করবে। এর ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসুদ অভিযোগ করেন, “ঐতিহাসিক দলিল উপস্থাপনে আমাদের বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে। এই ঘোষণাপত্রের পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র কাজ করেছে।”
গতকাল গভীর রাতে, সরকারের মুখ্য উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক জরুরি ব্রিফিংয়ে জানান, জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে সরকারই গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত ঘোষণাপত্র প্রকাশ করবে। তিনি বলেন, “সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে।”
তবে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা আজ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘ইউনিটি মার্চ’ আয়োজন করবেন বলে জানিয়েছেন। তারা কর্মসূচি বাতিলের কোনো ইঙ্গিত দেননি। হাসনাত আব্দুল্লাহ, নাসিরউদ্দিন পাটওয়ারি, এবং সারজিস আলমের মতো ছাত্রনেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই-আগস্টে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু হওয়া হাসিনা বিরোধী বিক্ষোভ গণঅভ্যুত্থানের রূপ নেয়। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি বদলে যায়।সরকারের ঘোষণার পর আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হলেও ছাত্র নেতারা তাদের পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে নারাজ। এ বিষয়ে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা সময়ই বলবে।