উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে বছর শুরুর দিনেই ঘটল হৃদয়বিদারক ঘটনা। শহরের নাকা এলাকার একটি হোটেলে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে হত্যা করার অভিযোগে ২৪ বছর বয়সী যুবক আরশাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহতদের মধ্যে একজন নাবালিকা ও একজন কিশোরীসহ পরিবারের মা এবং তিন বোন রয়েছেন। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (মধ্য লখনউ) রবীনা ত্যাগী জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ৯ বছরের আলিয়া, ১৬ বছরের আকসা, ১৮ বছরের রেহমীন, ১৯ বছরের আলশিয়া এবং মাঝবয়সী আসমা রয়েছেন। পুলিশ দাবি করছে, আসমা অভিযুক্তের মা এবং বাকি চারজন তারই বোন।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পরপরই হোটেল শরণজিতে পৌঁছে পুলিশ আরশাদকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আরশাদের পরিবার আগরার বাসিন্দা এবং সেখানে পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত। সেই অশান্তি থেকেই চার বোন ও মাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় আরশাদ। ঘটনার পরপরই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে পারিবারিক অশান্তি ছাড়া অন্য কোনো কারণ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং আরশাদের জবানবন্দির ভিত্তিতে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটিত হবে। প্রয়োজনে নিহতদের আত্মীয় ও পরিচিতদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এই গণহত্যা উত্তরপ্রদেশবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। ঘটনাটি আরও গভীরভাবে তদন্ত করছে পুলিশ।
