ঘূর্ণাবর্ত এবং পশ্চিমি ঝঞ্ঝার দাপটে এ বছর শীতের প্রকোপ অনেকটাই কম। তবে নতুন বছরের শুরুতেই পারদ পতনের কারণে কিছুটা ফিরে এসেছে শীতের আমেজ। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলিতে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শীতের এই দাপট বেশিদিন স্থায়ী হবে না। পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাজ্যের সমতল এলাকার মধ্যে শীতলতম ছিল আসানসোল। সেখানকার তাপমাত্রা নেমে আসে ৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা স্বাভাবিকের থেকে ৪.১ ডিগ্রি কম। পশ্চিমাঞ্চলের অন্যান্য জেলাগুলিতেও পারদ নেমে এক অঙ্কে পৌঁছেছে। বোলপুরে তাপমাত্রা ছিল ৯.২ ডিগ্রি, বর্ধমানে ৯.৬, এবং বাঁকুড়ায় ৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবারের তথ্য অনুযায়ী, সম্ভবত পুরুল্যাই ছিল শীতলতম।
কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতেও শীতের আমেজ স্পষ্ট। দমদমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৪ ডিগ্রি, আলিপুরে ১৩.২ ডিগ্রি, এবং বিধাননগরে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মেদিনীপুরে তাপমাত্রা নেমে ১১.৩ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। উত্তরবঙ্গে মালদায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৫ ডিগ্রি, জলপাইগুড়িতে ১২.১ ডিগ্রি, এবং পাহাড়ি এলাকায় দার্জিলিংয়ে ৫.৬ ডিগ্রি ও কালিম্পংয়ে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সপ্তাহের শেষে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। শীতের এই ক্ষণস্থায়ী দাপট আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে দ্রুত বিদায় নেবে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
