নতুন বছরে রাজ্য রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সিপিএম। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে দল। এরই অংশ হিসেবে আগামী ১৭ জানুয়ারি নিউটাউনে ‘জ্যোতি বসু সোশ্যাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’-এর অংশবিশেষের উদ্বোধন হতে চলেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশের বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে। এর পাশাপাশি, ২০২৫ সালের ২০ এপ্রিল ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বিশাল সমাবেশের ডাক দিয়েছে সিপিএম। এই সমাবেশের মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিপিএমের সিটু, কৃষক ও খেতমজুর সংগঠনকে। সিপিএম নেতৃত্বের মতে, তৃণমূল ও বিজেপি সরকারের শাসনে গরিব মানুষের দুর্দশা বাড়ছে। সেই ইস্যুকে কেন্দ্র করে এই সমাবেশে বড় বার্তা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে দল।
২০১১ সালে ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই ক্রমশই রাজ্য রাজনীতিতে সিপিএমের প্রভাব কমছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন থেকে দল প্রায় শূন্যতায় ভুগছে। এমনকি, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর ব্রিগেড সমাবেশেও ফলাফল আশানুরূপ হয়নি। তবে দল এবার নতুন উদ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। ব্রিগেড সমাবেশ থেকে বার্তা পৌঁছানোর পাশাপাশি এপ্রিল মাসের পর হতে যাওয়া পুরনিগম নির্বাচনে দল নিজের উপস্থিতি জোরদার করার চেষ্টা চালাবে।
আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে অনুষ্ঠিত সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দলকে সংগঠিত করতে কৃষক, শ্রমিক ও বস্তি এলাকার মানুষের দাবি-দাওয়ার উপর জোর দেওয়া হবে। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়, ব্রিগেডের মাঠ ভরালেও সিপিএম কি ভোটবাক্সে সাড়া তুলতে পারবে?