রাজ্য সরকারের শিক্ষকদের অবসরের বয়স বাড়ছে না, এমনটাই স্পষ্ট জানালেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি ঘুরে বেড়াচ্ছিল, যেখানে দাবি করা হয়েছিল যে প্রাথমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের স্কুলের শিক্ষকদের অবসরের বয়সসীমা ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করা হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্য সরকারের স্কুলশিক্ষা দপ্তরের নাম উল্লেখ থাকায় বিভ্রান্তি ছড়ায়।
শনিবার রাতে এই ভুয়ো খবরের ভিত্তিতে জল্পনা শুরু হয়। যদিও শিক্ষামন্ত্রী রোববার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, “শিক্ষকদের অবসরের বয়স বৃদ্ধি করার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এই খবর সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ও বিভ্রান্তিকর। সমাজমাধ্যমে এমন ভুয়ো খবর ছড়ানো অনৈতিক।”
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারীও এই ভুয়ো বিজ্ঞপ্তির বিরোধিতা করে জানান, “শিক্ষকদের অবসরের বয়স ৬৫ করা নিয়ে ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি ভাইরাল করা হচ্ছে। এটি মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।”
ব্রাত্য বসুর এই স্পষ্টীকরণের পর বিষয়টি নিয়ে চর্চা থামলেও, শিক্ষকদের মধ্যে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত। বর্তমানে রাজ্যের শিক্ষকরা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় মাত্র ১৪ শতাংশ ডিএ পান, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় ৫৩ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। এই ডিএ পার্থক্যের কারণে শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি আরও জোরালো হয়েছে।
শিক্ষকদের দাবি এবং ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি নিয়ে আলোচনা হলেও, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বক্তব্যে বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি দূর হয়েছে।