পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে নতুন মোড়। ইতিমধ্যেই এক প্রাক্তন পুলিশকর্মী গ্রেফতার হওয়ার পর এবার কলকাতা পুলিশের আরও চারজন কর্মীর দিকে নজর পড়েছে তদন্তকারীদের। এই চারজনের মধ্যে রয়েছেন দুই পুলিশ অফিসার, এক কনস্টেবল এবং একজন হোমগার্ড।
জানা গিয়েছে, চারজনের মধ্যে একজন থানায় কর্মরত ছিলেন, বাকি দুজন ও এক হোমগার্ড সিকিউরিটি কন্ট্রোলরুমে কাজ করতেন। তাঁদের আপাতত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারীদের মতে, এই চারজনের কাছ থেকে পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, পাসপোর্ট জালিয়াতির ঘটনায় সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টর আবদুল হাই। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পাসপোর্ট যাচাইয়ের দায়িত্বে থাকার সময় সমরেশ বিশ্বাসের মতো মূল চক্রীদের সহযোগিতা করেছেন। ধৃত আবদুল হাইয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চক্রের কাছ থেকে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা গিয়েছে বলে অভিযোগ।
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সমরেশ বিশ্বাস গত কয়েক বছরে ১৫০ জনেরও বেশি অনুপ্রবেশকারীকে ভারতীয় পাসপোর্ট করিয়ে বিদেশে পাঠিয়েছে। তার মধ্যে ৫০টির বেশি পাসপোর্ট আবদুল হাইয়ের সহযোগিতায় তৈরি হয়। তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রতিটি পাসপোর্টের জন্য ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হতো।
এই কাণ্ডে ইতিমধ্যেই মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা ধৃতদের কাছ থেকে পাওয়া পাঁচটি মোবাইল ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফোনগুলির ডেটা উদ্ধার করে চক্রের আরও সদস্যদের খোঁজ চালানো হবে।
পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের জাল যে আরও বিস্তৃত, তা নিয়ে নিশ্চিত তদন্তকারীরা। গোয়েন্দাদের আশা, তদন্তে আরও বড় তথ্য সামনে আসবে।