মঙ্গলবার রাতে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডন যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। বেলা ১১টা ৪৬ মিনিটে কাতারের আমিরের পাঠানো রয়্যাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হন খালেদা জিয়া। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে রয়্যাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় পৌঁছেছিল। তাঁর সঙ্গে পরিবারের সদস্য, সহকারী এবং চিকিৎসক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও তাঁর সঙ্গে যাচ্ছেন কাতারের সরকারি চিকিৎসকদের একটি দল।
তবে লন্ডনে যাওয়ার আগে, গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজার কাছে জড়ো হয় বিপুল সংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মীরা। সন্ধ্যা ৭টার সময় চিকিৎসার উদ্দেশ্যে দেশের বাইরে যাওয়া তাঁদের প্রিয় নেত্রীকে দেখতে হাজির হন তাঁরা। সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে, সম্পূর্ণরূপে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া লন্ডনে যাচ্ছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়, বলে জানান বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব।
খালেদা জিয়ার উন্নত স্বাস্থ্য পরিসেবা পাওয়ার প্রয়োজন। তাই এদিন তিনি লণ্ডনের উদ্দেশ্যে গেলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এই প্রসঙ্গে জানান, “তিনি সুস্থ আমাদের কাছে ফিরে আসুক। আমরা দোয়া করি তার চিকিৎসা যেন সফল হয়”। গতকাল রাত ৮টায় খালেদা জিয়া বিদেশ যাওয়ার পথে গুলশানের বাসভবন থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রয় নেত্রীকে দেখার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন দলের নেতাকর্মীরা। কিন্তু কি এমন হলো খালেদা জিয়ার? কেনই বা লন্ডনে যাচ্ছেন তিনি।
জানা গিয়েছে যে, ৭৯ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ এবং কিডনির সমস্যা সহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। বুধবার লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাঁকে চিকিৎসার জন্য লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হবে বলে জানান তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন। খালেদা জিয়াকে এদিন বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে যান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
