সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কোদালিয়া নদীর ৫ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) এই এলাকায় নিজেদের দখল প্রতিষ্ঠা করেছে। তবে, ভারতের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “উল্লেখিত এলাকা ভারতেরই অংশ এবং তা আন্তর্জাতিক সীমান্তের রেফারেন্স পিলার দ্বারা সঠিকভাবে চিহ্নিত। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকের এই এলাকায় বহু দশক ধরে বিএসএফ দায়িত্ব পালন করছে। ভারতের এক ইঞ্চি জমিও কেউ ছিনিয়ে নিতে পারেনি।”
বিজিবির দাবি অনুযায়ী, কোদালিয়া নদীর প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে। বিজিবির বক্তব্য, ওই এলাকায় বাংলাদেশি জেলেরা মাছ ধরতে গেলে বিএসএফ তাদের বাধা দিত।
বিএসএফ স্পষ্ট করেছে যে, সীমান্তের দু’পারে উভয় বাহিনী ১৯৭৫ সালের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্দেশিকা মেনে দায়িত্ব পালন করছে। কোদালিয়া নদীতে বিজিবি ২৪ ঘণ্টা টহল চালাচ্ছে বলে যে দাবি উঠেছে, তাও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে বিএসএফ।
সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের অভাবে প্রায়ই চোরাচালান ও অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে বিএসএফের সক্রিয়তার কারণে অনুপ্রবেশ প্রায় শূন্যে নেমেছে। উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে কাজ চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।