মালদায় তৃণমূল নেতা দুলাল (বাবলা) সরকারের হত্যাকাণ্ডে পুলিশ গ্রেফতার করল শহর তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে। মঙ্গলবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার। এ ঘটনায় তৃণমূলের আরেক নেতা স্বপন শর্মাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত পাঁচ অভিযুক্তের বয়ানের ভিত্তিতে এই গ্রেফতারি।
বাবলা সরকারের খুনের ঘটনায় শুরু থেকেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব উঠে আসছিল। বাবলার স্ত্রী সরাসরি দাবি করেছিলেন, তৃণমূলেরই কেউ এই হত্যাকাণ্ডে যুক্ত। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ইংরেজবাজার থানায় তলব করা হয় নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও তাঁর দুই ভাইকে। বেলা সাড়ে ১২টায় থানায় পৌঁছানোর পর পুলিশ টানা জেরা চালায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধৃত দুষ্কৃতীদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সময় নরেন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে খুনে জড়িত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ মেলে। এরপরই তাঁকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাবলা সরকারের সঙ্গে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির বিবাদ বহুদিনের। ২০২২ সালের পুরসভা নির্বাচনের পর নরেন্দ্রনাথের ওপর বাবলার অনুগামীদের হামলার ঘটনাও ঘটেছিল। সেই থেকেই দুই নেতার মধ্যে শত্রুতা চরমে ওঠে। বাবলা সরকারের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারছিলেন না নরেন্দ্রনাথ।
স্থানীয়দের দাবি, বাবলার জনপ্রিয়তা এবং শহরে তাঁর দখলদারিত্ব ক্রমেই বাড়ছিল। এই কোণঠাসা পরিস্থিতি থেকেই খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে এবং দুষ্কৃতীদের জেরা করে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে।