গঙ্গাসাগর মেলায় হাজার হাজার পূণ্যার্থীর ঢল। এই পুণ্য তীর্থে হাজির হয়েছেন নানা রকম সাধু-সন্ন্যাসী। তাদের মধ্যে আলাদা করে নজর কেড়েছেন দুই সাধু, যাদের যোগসাধনার একমাত্র ভরসা দাঁড়িয়ে থাকা। বাবুঘাটের আখড়ায় দেখা মিলল তাঁদের। একজন পণ করেছেন ১২ বছর ধরে শুধুমাত্র দাঁড়িয়ে থেকে সাধনা করবেন। আরেকজন দাবি করছেন, তিনি জীবনের ৪৬ বছর কাটিয়েছেন একইভাবে দাঁড়িয়ে থেকে। প্রথম সাধু, পূজারি নাগাবাবা শঙ্করপুরী, জানালেন, “১২ বছর ধরে দাঁড়িয়ে যোগসাধনা করার সংকল্প নিয়েছি। এখনো এক বছর পেরিয়েছি, ১১ বছর বাকি। দিনরাত দাঁড়িয়ে থাকি।” সাধনার সময় বিশ্রামের জন্য আখড়ায় একটি বিশেষ দোলনার মতো ব্যবস্থাও রয়েছে। সেখানে ভর দিয়ে রাত কাটান তিনি। এই কঠিন সাধনায় শারীরিক কষ্ট হয় না? জবাবে তিনি বলেন, “পরমেশ্বরের আরাধনায় কষ্ট অনুভব করি না।”
অপর সাধু এসেছেন গ্রেটার নয়ডা থেকে। তিনিও দিনরাত দাঁড়িয়ে যোগসাধনায় মগ্ন। পায়ে ব্যান্ডেজ থাকা সত্ত্বেও তিনি সাধনা চালিয়ে যাচ্ছেন। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কোনও বিশেষ কারণ নেই। এটাই আমার সাধনা।”প্রয়াগরাজে কুম্ভ মেলায় যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে এই সাধুদের। পূজারি নাগাবাবা শঙ্করপুরী বলেন, “১৫ তারিখের টিকিট কাটা হয়েছে। কলকাতা থেকে কুম্ভে রওনা দেব। যেখানে সন্ত যায়, সেখানেই পুণ্যভূমি।”
গঙ্গাসাগরের পথে সাধু-সন্ন্যাসীদের এমন আধ্যাত্মিক জীবনধারা ও কঠোর তপস্যা ভক্তদের মুগ্ধ করছে। গঙ্গাসাগর মেলায় পূণ্যার্থীরা শুধু স্নানের মধ্য দিয়েই নয়, এই সাধুদের জীবনচর্চার সাক্ষী থেকেও পুণ্যের অংশীদার হচ্ছেন।