পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হল ১৪টি ওষুধ। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি বিভিন্ন স্যালাইন ও ইনফিউশন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এই ওষুধগুলো কোনো হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজ ব্যবহার করতে পারবে না। যেখানে এই ওষুধ মজুত রয়েছে, তা অবিলম্বে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ। জানা গেছে, নিম্নমানের রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইনের ব্যবহারেই প্রসূতির মৃত্যু এবং আরও কয়েকজনের অসুস্থতার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিআইডি তদন্ত শুরু করেছে।
সিআইডি তদন্তকারীরা হাসপাতালের সুপার, নার্স, এবং ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে নথিপত্র খতিয়ে দেখছেন। পাশাপাশি, নিষিদ্ধ স্যালাইনের ব্যাচ নম্বর এবং হাসপাতালের রোস্টার পরীক্ষা করা হচ্ছে।নিষিদ্ধ ১৪টি ওষুধের তালিকায় রয়েছে ডেক্সট্রোস ইনজেকশন, লেভোফ্লক্সাসিন ইনফিউশন, ম্যানিটল ইনফিউশন, পেডিয়াট্রিক ইলেক্ট্রোলাইট সলিউশন, প্যারাসিটামল ইনফিউশন, এবং রিঙ্গার্স ল্যাকটেটসহ আরও বেশ কিছু স্যালাইন।
মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই চিকিৎসা পরিষেবার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, রোগীদের সুরক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নিষিদ্ধ ওষুধগুলোর বিক্রি ও ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে একাধিক বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।