৬০০০ কোটি টাকার বিশাল ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় তৎপর ইডি। বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার বেহালা এবং হাওড়ার শিবপুরে অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, বেহালায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী দীপক জৈনের বাড়ি এবং শিবপুরে আরও একটি স্থানে অভিযান চলছে। ইডি অভিযোগ করেছে, একটি স্টিল কোম্পানি ১৬টি ব্যাঙ্ক থেকে ২০০৮-২০১৮ সালের মধ্যে ৬২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে তা আত্মসাৎ করেছে।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলার সূত্রপাত হয়েছিল ২০১৯ সালে, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অভিযোগের ভিত্তিতে। ২০২২ সালে সিবিআই-এর এফআইআরের পর ইডি তদন্তে নামে। অভিযুক্ত সঞ্জয় সুরেখার অধীনে কর্মরত ব্যক্তিদের ভুয়ো সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রতারণার টাকা পরিবারের সদস্যদের নামে গঠিত সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছিল।
গত বছরের ডিসেম্বরে সঞ্জয় সুরেখার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইডি সাড়ে ৪ কোটি টাকা এবং ৬টি বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে। সেখান থেকেই উঠে আসে নতুন নাম দীপক জৈনের। ইডির দাবি, জালিয়াতি চক্রের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য দীপক জৈন।
ইডি-র মতে, গত দশ বছরে এই প্রতারণা চক্র দেশের ব্যাঙ্ক ব্যবস্থায় বড়সড় ধাক্কা দিয়েছে। প্রতারণা মামলার তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযানের পরবর্তী ধাপে একাধিক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালানো হতে পারে বলে জানিয়েছে ইডি।