স্থলসেনা এবং বায়ুসেনার সমন্বয় আরোও নিবিড় করতে চলেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। বিমানবন্দর থেকে সেতু হোক কিংবা নৌঘাঁটি থেকে অস্ত্রভান্ডার, যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে শত্রু দেশের সেনার বিমান কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র ভারতকে বিপাকে ফেলতে এই ধরনেরই কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিশানা বেছে নেওয়ার লক্ষ্য রাখবে। সেকথা বিবেচনা করেই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ঢেলে সাজাতে তৎপর হল ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সশস্ত্র বাহিনীর দুই শাখা, স্থলসেনা এবং বায়ুসেনার সমন্বয় পূর্বের তুলনায় আরোও নিবিড় করা হচ্ছে। ‘ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম’ (আইএসিসিএস) নামে পরিচালন ব্যবস্থার আওতায় আনা হচ্ছে দুই বাহিনীর সমস্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলিকে। কয়েকটি প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই সেই একত্রীকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
বছর কয়েক আগেই সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার যৌথ পদক্ষেপের বা থিয়েটারাইজ়েশন কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তাঁর মন্ত্রকের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, নতুন ব্যবস্থায় রুশ এস-৪০০ থেকে ভারতীয় ‘আকাশ’ অর্থাৎ ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত আইএসিসিএস-এর নিয়ন্ত্রণে সবই চলে আসবে। ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে স্থলসেনার ‘আকাশতির এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’-এর ক্ষেত্রে।
সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সোমবার তাঁর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে আকাশতির-প্রসঙ্গের তুলে জানান, “চলতি বছরের শেষেই একত্রীকরণের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশা করছি।” বর্তমানে দেশ জুড়ে পৃথক পৃথক কমান্ড রয়েছে ভারতীয় স্থলসেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনার। ‘থিয়েটারাইজ়েশন’ পদ্ধতির মূল লক্ষ্য তিন বাহিনীর ভিন্ন ভিন্ন কমান্ডের বদলে, একই থিয়েটার কমান্ড গঠন করা। ইতিমধ্যেই এই ব্যবস্থা চালু করেছে আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের মতো দেশগুলি। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাব ঘটবে না।