আফ্রিকা থেকে ইউরোপে চোরা পথে পাড়ি দিতে গিয়ে ভয়াবহ নৌকা দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫০ জন অভিবাসী। স্পেনগামী ওই নৌকাটি ২ জানুয়ারি মরিশানিয়া থেকে ছেড়েছিল, যাতে ছিলেন ৮৮ জন যাত্রী। এর মধ্যে ৬৬ জন পাকিস্তানি ছিলেন। দুর্ঘটনার পর মাত্র ৩৬ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। শরণার্থীদের অধিকার রক্ষা সংস্থা ‘ওয়াকিং বর্ডারস’ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৪৪ জন পাকিস্তানি।
দুর্ঘটনার শিকার এই অভিবাসীদের মধ্যে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা ১৩ দিন সীমান্তে আটকা ছিলেন। পরে মরোক্কোর কর্তৃপক্ষ তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকলার একটি শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় দেয়। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, রাবাতে পাকিস্তানি দূতাবাস থেকে একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া প্রতিটি পাকিস্তানি নাগরিককে সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার।
এদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই ঘটনার জন্য মানবপাচারকারীদের দায়ী করে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। শেহবাজ জানিয়েছেন, এই পাচারকারীরা সাধারণ মানুষকে বিপজ্জনক পথের প্রলোভন দেখিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। তিনি দুর্ঘটনার শিকার পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে নিখোঁজদের সন্ধান এবং মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন।
এমন ভয়াবহ ঘটনা সামনে আসায় শেহবাজ শরিফ প্রশাসনিক কর্তাদের কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট তলব করেছেন এবং মানবপাচারের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।