কানাডার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নাম লিখিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত লিবারেল সাংসদ চন্দ্র আর্য। নিজের মাতৃভাষা কন্নড়ে সংসদে বক্তৃতা দিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি নজর কেড়েছেন।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা করার পর লিবারেল পার্টির পরবর্তী প্রধান নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যিনি লিবারেল প্রধান হবেন, তিনিই কানাডার প্রধানমন্ত্রী। এই প্রেক্ষিতেই চন্দ্র আর্য মনোনয়ন পেশ করেছেন। উল্লেখযোগ্য, খলিস্তানি ইস্যুতে চন্দ্র বারবার ট্রুডোর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।
কর্ণাটকের টুমকুরে জন্মগ্রহণকারী চন্দ্র আর্য কানাডার রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন। সম্প্রতি, ১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী দাঙ্গাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দেওয়ার একটি প্রস্তাব সংসদে পেশ করা হলে তিনি একমাত্র বিরোধিতা করেন, যা শেষ পর্যন্ত আটকে যায়। খলিস্তানি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তাঁর এই দৃঢ় অবস্থান তাঁকে আরও জনপ্রিয় করেছে।
অন্যদিকে, জাস্টিন ট্রুডোর জনপ্রিয়তা বিগত বছরগুলিতে তলানিতে এসে ঠেকেছে। জনমত সমীক্ষাগুলিতে লিবারেল পার্টির আসন্ন নির্বাচনে পরাজয়ের ইঙ্গিত মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে ট্রুডো দল এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
২০১৩ সালে লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব গ্রহণ করেছিলেন ট্রুডো। তাঁর নেতৃত্বে ২০১৫ সালে দল ক্ষমতায় ফেরে। কিন্তু এক দশক পর তাঁর নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে। এই সুযোগে চন্দ্র আর্য নিজের জায়গা করে নিতে মরিয়া।
চন্দ্রের মনোনয়ন পেশের মাধ্যমে কানাডার রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।