ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে ১৫ মাস ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটাতে শনিবার ইজরায়েলি সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করেছে। ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকের পর ২৪ জন মন্ত্রীর সম্মতিতে এই চুক্তি পাস হয়। তবে চুক্তির বিরোধিতা করেন কয়েকজন কট্টর ডানপন্থী মন্ত্রী।
চুক্তি অনুযায়ী, হামাস ইজরায়েলি বন্দিদের মধ্যে শিশু, বৃদ্ধ ও মহিলাসহ ৩৩ জনকে মুক্তি দেবে। এর বিনিময়ে ইজরায়েলও প্যালেস্টিনীয় কারাগারে বন্দি থাকা ১৯ বছরের কম বয়সি কিশোর-কিশোরীদের মুক্তি দেবে। তবে এই চুক্তি ইজরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইটামার বেন গভির ইতিমধ্যে জোট থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচও সন্দিহান মনোভাব প্রকাশ করেছেন।
এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে কাতারের দোহায় দীর্ঘ ৯৬ ঘণ্টার আলোচনার প্রয়োজন হয়। ১৯ জানুয়ারি থেকে এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ছয় সপ্তাহের জন্য স্থায়ী এই যুদ্ধবিরতির সময় উভয় পক্ষ বন্দিদের মুক্তি দেবে এবং ইজরায়েল সেনা গাজার জনবহুল অঞ্চল থেকে সরে আসবে।যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গাজায় ত্রাণ কার্যক্রমে আর কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না ইজরায়েল। তবে হামাসের হাতে এখনও প্রায় ১০০ জন ইজরায়েলি বন্দি রয়েছে বলে জানা গেছে, যাদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই চুক্তি সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক টানাপোড়েন ও অবিশ্বাস চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
