বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে এবার পাকিস্তান থেকে জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি পাকিস্তান সফরে যান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল এসএম কামরুল হাসান। ১৫ জানুয়ারি পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠককালে এই যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমানগুলো চীন ও পাকিস্তানের যৌথ উদ্যোগে তৈরি। এটি একটি চতুর্থ প্রজন্মের মাল্টি-রোল ফাইটার জেট, যা দূরপাল্লার এয়ার-টু-এয়ার ও এয়ার-টু-গ্রাউন্ড মিশনে কার্যকর। বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে এফ-৭ এবং মিগ-২৯-এর মতো পুরনো যুদ্ধবিমান রয়েছে। নতুন প্রজন্মের বিমান সংযোজনের মাধ্যমে বিমানবাহিনীর শক্তি বাড়াতে চায় ঢাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানটির সর্বোচ্চ গতি ১৯৭৫ কিমি/ঘণ্টা এবং এটি ৫৪,০০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে সক্ষম। অন্যদিকে, ভারতের কাছে থাকা ফরাসি রাফাল যুদ্ধবিমান প্রযুক্তিগতভাবে অনেক উন্নত। রাফালের সর্বোচ্চ গতি ২২২২.৬ কিমি/ঘণ্টা এবং এটি একই মিশনে চারটি অপারেশন চালাতে সক্ষম। ডগফাইটের সময় প্রতি মিনিটে রাফাল ৬০,০০০ ফুট পর্যন্ত উঠতে পারে, যেখানে জেএফ-১৭ উঠতে পারে ৫৯,০০০ ফুট।
বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষাগত তুলনার প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ মূলত তাদের সীমিত বাজেটের মধ্যে বিমানবাহিনীর আধুনিকীকরণের চেষ্টা করছে। পাকিস্তান থেকে চীনা প্রযুক্তির এই যুদ্ধবিমান কেনার আলোচনা আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
