আমেরিকার এইচ-১বি ভিসা নিয়ে ফের সরগরম মার্কিন সেনেট। প্রবীণ সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স সম্প্রতি এই ভিসা এবং সংক্রান্ত আইন সংস্কারের প্রস্তাব পেশ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, এইচ-১বি ভিসার মূল উদ্দেশ্য সেরা ও দক্ষ কর্মীদের নিয়োগ করা হলেও, বাস্তবে তা ব্যবহার হচ্ছে কম মাইনের বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য। স্যান্ডার্সের দাবি, নামী সংস্থাগুলি মার্কিন কর্মীদের ছাঁটাই করে বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ করছে, যাঁদের কম পারিশ্রমিকে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকি, অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের সঙ্গে ক্রীতদাসের মতো আচরণ করা হচ্ছে। তিনি উদাহরণ হিসাবে টেসলার নাম উল্লেখ করেন, যেখানে মার্কিন কর্মীদের ছাঁটাই করে এইচ-১বি ভিসাধারীদের কম মজুরিতে নিয়োগ করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতি বদলানোর জন্য স্যান্ডার্স বেশ কিছু সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, ভিসার জন্য সংস্থাগুলির দেওয়া ফিজ দ্বিগুণ করা উচিত, যাতে সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাথ (স্টেম) বিষয়ে মার্কিন শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত তহবিল তৈরি করা যায়। তাছাড়া, এইচ-১বি ভিসাধারীদের স্থানীয় মজুরির সমান বেতন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও, মার্কিন কর্মীদের ছাঁটাই করে বিদেশি কর্মী নিয়োগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন স্যান্ডার্স। তাঁর মতে, এই সংস্কারগুলি কার্যকর হলে, ভিসার অপব্যবহার বন্ধ হবে এবং স্থানীয় কর্মীদের অধিকার সুরক্ষিত হবে।
বার্নি স্যান্ডার্স সরাসরি টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্ক এবং ব্যবসায়ী বিবেক রামাস্বামীকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। তাঁদের এইচ-১বি ভিসার প্রতি সমর্থনের প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মার্কিন কর্মসংস্থান এবং ভিসা ব্যবস্থায় এই প্রস্তাব কী পরিবর্তন আনবে, তা নিয়ে এখন নজর সবার।