আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতা চিকিৎসকের মৃত্যুতে শিয়ালদা আদালত সোমবার রায় ঘোষণা করেছে। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৬৪ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৬৬ ধারায় আমৃত্যু কারাবাস এবং ১০৩ (১) ধারায় যাবজ্জীবনের সাজা দেওয়া হয়েছে।
বিচারক এই মামলাকে ‘বিরল থেকে বিরলতম’ অপরাধ বলে গণ্য না করে সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এই অর্থ পরিবারকে সহমর্মিতার প্রতীক হিসেবে নয়, বরং সরকারের নিরাপত্তা প্রদানের দায়বদ্ধতার অধীনে দেওয়া হচ্ছে।
রায় ঘোষণার পরে নির্যাতিতার বাবা-মা আদালতে জানান, তাঁরা কোনও ক্ষতিপূরণ চান না, তাঁরা তাঁদের মেয়ের বিচার চান। এ প্রসঙ্গে বিচারক মন্তব্য করেন, “মেয়ের মৃত্যুর জন্য কোনও অর্থ ক্ষতিপূরণ হতে পারে না। তবে, রাষ্ট্রের দায়িত্ব অনুযায়ী এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।”
এই ঘটনার পরে, নির্যাতিতার পরিবারের সিদ্ধান্ত কী হবে, তা নিয়ে আদালত তাদের বিবেচনার অধিকার রেখেছে।
পরিবারের বক্তব্য, তাদের মেয়ে একজন চিকিৎসক হিসেবে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন। তাঁর এমন মর্মান্তিক পরিণতি তাঁদের জন্য অকল্পনীয় ক্ষতি। তাঁরা আশা করছেন, সঠিক বিচার এবং এই ঘটনার কঠোর শাস্তি ভবিষ্যতে এমন অপরাধ রোধে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
এই রায় নিয়ে সমাজের বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। সবার প্রশ্ন, এই রায় কি সত্যিই যথাযথ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে?