চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুন মামলায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা শোনালেন শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। গত ২০ জানুয়ারি সঞ্জয় রায়ের শাস্তি ঘোষণা করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৬৩, ৬৪ এবং ১০৩(১) ধারায় সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
আদালতে রায় ঘোষণার আগে সঞ্জয় রায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে। তার বক্তব্য, শারীরিক আঘাত ও অন্যান্য প্রমাণ তাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যে সাজানো হয়েছে। সঞ্জয় দাবি করে, সালুয়ার ক্লাইম্বিং প্রশিক্ষণের সময় পড়ে গিয়ে তার শরীরে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল, যা পুলিশ ধর্ষণের ক্ষত বলে দাবি করে। এছাড়া, হাসপাতালের চারতলায় তার উপস্থিতি প্রসঙ্গে সে জানায়, এক রোগীর দেখাশোনা করতে গিয়েছিল এবং সেখানেই ব্লুটুথ ইয়ারফোন ফেলে এসেছিল। সঞ্জয়ের অভিযোগ, সেই ইয়ারফোন পরে ঘটনাস্থলে ‘প্ল্যান্ট’ করা হয়।
বিচারক সঞ্জয়কে ১০০টিরও বেশি প্রশ্ন করেন। ব্লুটুথ, দেহের ক্ষত এবং বায়োলজিকাল এভিডেন্স নিয়ে তার যুক্তি খণ্ডন করেন বিচারক। প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
বিচারকের নির্দেশে নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। মামলাটিকে বিরলের মধ্যে বিরলতম হিসেবে গণ্য করা না হলেও, আদালত সঞ্জয়ের অপরাধকে অত্যন্ত গুরুতর বলে চিহ্নিত করে।
এই রায়কে ঘিরে আদালত চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিচারক জানান, সঞ্জয়ের অপরাধের মাত্রা সমাজের কাছে একটি উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হবে।