পাকিস্তানি অনুপ্রবেশ রুখতে তৎপর ভারত। পাকিস্তান থেকে সুড়ঙ্গ খনন করে জম্মু ও কাশ্মীর হয়ে ভারতে সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশের ঘৃণ্য পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে সীমান্তে দারুণ কাজ করছে বিএসএফ। বিএসএফ সূত্র জানিয়েছে যে প্রথম পর্যায়ে, তাঁরা জম্মু, সাম্বা এবং কাঠুয়া এলাকার ৩৩ কিলোমিটার এলাকায় এই ধরনের সুড়ঙ্গ চিহ্নিত করেছে যেখান থেকে পাকিস্তান সুড়ঙ্গ খনন করে সন্ত্রাসীরা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে।
এর মধ্যে রয়েছে সাম্বার এলাকা, যেখানে ২০২২ সালে একটি দীর্ঘ সুড়ঙ্গও পাওয়া গিয়েছিল। ওই সুড়ঙ্গে একটি অক্সিজেন পাইপ ঢুকিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। পাকিস্তানি চমন খুর্দ পোস্ট থেকে প্রায় ৯০০ মিটার এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫০ মিটার দূরে এটি পাওয়া গেছে। ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এই এলাকায় ১১টি বড় টানেল পাওয়া গেছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্র বলছে যে, গত বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনের আগে জম্মু ও কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। তখনই বিএসএফ পুরো এলাকাটি খতিয়ে দেখেছিল। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট এই ৩৩ কিলোমিটার জায়গার মধ্যে, ২৫ কিলোমিটার এলাকায় প্রয়োজন অনুসারে খনন এবং পরিখা তৈরির সঙ্গে সঙ্গে কংক্রিটের দেয়াল দিয়ে এলাকাটিকে অত্যন্ত শক্তিশালী করা হয়েছে।
এখন এখান থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সন্ত্রাসীরা অনুপ্রবেশ করতে পারবে না। বিএসএফ কর্মকর্তারা বলছেন, বাকি ৮ কিলোমিটার এলাকায় টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা পুরোপুরি নস্যাৎ করার কাজ দুই মাসের মধ্যে শেষ হবে। বিএসএফ এমন প্রযুক্তিও ব্যবহার করছে যা মাটির নীচে ১০ ফুট পর্যন্ত নির্মিত যে কোনও টানেল সনাক্ত করতে পারে।
জম্মু ও কাশ্মীরের যে সব এলাকা পাকিস্তানের সীমান্তে রয়েছে তা নিয়ে গবেষণা করছে বিএসএফ। সেখানে যে কোনো জায়গা থেকে পাকিস্তানি মাটি থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে জম্মু-কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করা যায়। কর্মকর্তারা বলছেন, এ ধরনের সব কালো দাগ স্থায়ীভাবে বন্ধ করার কাজ শুরু হয়েছে। সাধারণত, সুড়ঙ্গগুলি খনন করা হয়। কিন্তু কোনও মেশিন দ্বারা সুড়ঙ্গ খনন করা হয়না। টানেলগুলো এতটাই প্রশস্ত যে পুরুষরা সেগুলো দিয়ে হামাগুড়ি দিতে পারে। অক্সিজেন পাইপ ঢোকানো হয়। প্রয়োজন অনুসারে, বালির ব্যাগ এবং অন্যান্য জিনিস ভিতরে রাখা হয়, যাতে টানেলটি বিলীন হয়ে না যায়।