মহারাষ্ট্রের জলগাঁও জেলায় বুধবার সন্ধ্যায় একটি মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এক নাবালক ও দুই নারী রয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মুম্বাইগামী পুষ্পক এক্সপ্রেসে যাত্রা করার সময় কয়েকজন যাত্রী অ্যালার্ম চেইন টানার পরে আতঙ্কিত হয়ে পাশের রেললাইনে ঝাঁপ দেন। ঠিক তখনই বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লিগামী কর্ণাটক এক্সপ্রেস এসে তাঁদের ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনাটি জলগাঁও জেলার পাচোরা শহরের মাহেজি ও পারধাদে স্টেশনের মাঝে ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে চারজন নেপালের বাসিন্দা। তাঁদের পরিচয় হল: কমলা নবীন ভান্ডারি (৪৩), জাভাকালা ভাটে (৬০), লাচ্ছিরাম খাতারু পাসি (৪০) এবং ইমতিয়াজ আলি (১১)। আহতদের মধ্যে ১০ জন পাচোরা সিভিল হাসপাতালে এবং একজন জলগাঁও শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সেন্ট্রাল রেলওয়ে আহত যাত্রীদের মধ্যে ৯ জনকে ২.৭০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করেছে। রেল বোর্ড নিহতদের পরিবারকে দেড় লক্ষ টাকা, গুরুতর জখমের জন্য ৫০ হাজার টাকা এবং সাধারণ আঘাতের জন্য ৫০০০ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। রেলওয়ে বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কামরার ভিতরে কোনও আগুন বা ধোঁয়ার প্রমাণ মেলেনি।
এই দুর্ঘটনা মহারাষ্ট্র এবং সারা দেশে গভীর শোকের সঞ্চার করেছে। তদন্তে রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ দল পাঠানো হয়েছে।