মার্কিন রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরেই বিরাট সিদ্ধান্ত নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলতি সপ্তাহে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি। তারপরেই ইউক্রেন সহ সমস্ত বিদেশী সহায়তা নিষিদ্ধ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্প গৃহীত এই সিদ্ধান্ত থেকে একমাত্র বাদ পড়েছে দুই ইসলামিক দেশ ইজরায়েল ও মিশর। এ তথ্য জানানো হয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, ইসরাইল ও মিশরের জন্য জরুরি খাদ্য ও সামরিক তহবিল বন্ধ করেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন যে ‘প্রতিটি প্রস্তাবিত নতুন অনুদান বা বর্ধিতকরণ পর্যালোচনা এবং অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত নতুন অনুদান বা বিদ্যমান অনুদানের সম্প্রসারণের জন্য কোনো অনুমোদন দেওয়া হবে না।
আমেরিকা ফার্স্ট নীতির সঙ্গেই যথেষ্ট সামঞ্জস্যপূর্ণ ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ। এই নীতির অধীনে তিনি নির্বাচনের সময় বিদেশী সহায়তা কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ করার কথা বলেছিলেন। ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বের উন্নয়ন সহায়তা থেকে শুরু করে সামরিক সহায়তা সব কিছুতেই প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মার্কিন রাষ্ট্রপতির ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বিরাট বড় ধাক্কা হতে চলেছে ইউক্রেনের জন্য। এই মুহূর্তে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সাহায্যের তীব্র প্রয়োজন জেলেনেস্কির। ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেনের আমলে ইউক্রেন আমেরিকার কাছ থেকে বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র পেয়েছে। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নির্দেশনার কারণে PEPFAR-এর জন্য মার্কিন অর্থায়ন অন্তত কয়েক মাসের জন্য বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, PEPFAR হল একটি এইচআইভি/এইডস-বিরোধী উদ্যোগ যা উন্নয়নশীল দেশগুলিতে, বিশেষ করে আফ্রিকাতে রোগের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল ওষুধ কেন। ২০০৩ সালে রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলে শুরু হয়েছিল এবং এখন পর্যন্ত ২.৬ কোটি মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে PEPFAR।
