২৬ জানুয়ারি মালদার সুকদেবপুরে ২ কিলোমিটার দীর্ঘ মিছিল শেষে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে তীব্র আক্রমণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, “ভারতের শক্তি এতটাই বেড়েছে যে ম্যান পাওয়ার লাগবে না, কয়েকটি ড্রোন ছাড়লেই কাজ শেষ। মশা-মাছির মতো যারা আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকায়, তাদের স্যাকরার ঠুকঠাকেই শিক্ষা দেওয়া হবে।”
শুভেন্দু অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিএসএফকে সীমান্তে কাজ করতে বাধা দিচ্ছে। রাজ্যের অনিচ্ছার কারণে সীমান্তে কাঁটাতারের কাজ থেমে রয়েছে। তিনি দাবি করেন, “রাজ্য সরকার রোহিঙ্গাদের ঢুকিয়ে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে। জনসংখ্যার বদলের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গকে দখল করার ষড়যন্ত্র চলছে।”
সুকদেবপুরের বাসিন্দাদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “আপনারা মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছেন। আপনাদের স্যালুট জানাই।” পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার মৌলবাদী। সেখানে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৮ জানুয়ারি মালদা সীমান্তে উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। বিএসএফ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের রুখে দেয়। সীমান্তে কাঁটাতারের কাজ নিয়েও ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্র হয়েছে। ২০১০ সালে বাংলাদেশের দেওয়া সম্মতির পরেও বর্তমান সরকার সেই অবস্থান বদলানোর চেষ্টা করছে।
শুভেন্দুর এই বক্তব্য নতুন করে সীমান্ত ইস্যুতে উত্তেজনা তৈরি করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিএসএফ সীমান্তে টহল জোরদার করেছে।