মার্কিন অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল ট্রাম্প প্রশাসন। ২৬ জানুয়ারি জানা যায়, ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (USAID) বাংলাদেশে তাদের সব প্রকল্প বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যে USAID বিভিন্ন প্রকল্পের পার্টনারদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ঢাকার দাবি, এই সিদ্ধান্তের বড় প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়বে না।
এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের মুখ্য উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “মার্কিন অনুদানে চলা প্রকল্প বন্ধ হলেও আমাদের ওপর এর প্রভাব সীমিত থাকবে। তবে রোহিঙ্গাদের জন্য মার্কিন সাহায্য জারি রাখায় ট্রাম্প প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদেশি অনুদান বন্ধের বিষয়ে বরাবরই কড়া অবস্থান নিয়েছেন। এর আগে ইজরায়েল এবং মিশর ছাড়া অন্যান্য আন্তর্জাতিক অনুদান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতির ভিত্তিতে নেওয়া এই পদক্ষেপে USAID-এর প্রকল্পগুলিও প্রভাবিত হয়েছে।
এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিতে ইউনুসের সঙ্গে দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত রয়েছে। ইউনুস ট্রাম্প বিরোধী হিসেবে পরিচিত। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ইউনুস ট্রাম্পের জয়কে “সূর্য গ্রহণের মতো কালো দিন” বলে অভিহিত করেছিলেন।
তবে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মার্কিন সাহায্য বজায় রাখা বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির খবর। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক মহলে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। ইউক্রেনের যুদ্ধ, PEPFAR প্রকল্প, এবং আফ্রিকার এইডস প্রতিরোধ কর্মসূচির ওপর এর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের ভবিষ্যৎ নীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা নজর রাখছেন।