মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সাসপেন্ড হওয়া সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়কে আপাতত গ্রেফতার করা যাবে না। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই নির্দেশ দেন। তবে তদন্ত চলবে এবং তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে।
এই মামলায় সিআইডি তদন্তে হস্তক্ষেপের আবেদন করেননি আদালত। বিচারপতি ঘোষ জানান, প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলা ইতিমধ্যেই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি চলছে। তাই সিঙ্গল বেঞ্চের এক্তিয়ার নিয়ে ব্যাখ্যার প্রয়োজন। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ থেকে অনুমোদন মিললেই পল্লবীর আবেদন শুনবে আদালত।
এদিকে, স্বাস্থ্য ভবনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে যান চিকিৎসক পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, স্যালাইন বিতর্কের প্রকৃত তদন্ত না করে ইচ্ছাকৃতভাবে ডাক্তারদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। স্যালাইনের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরেও সেটিকে চাপা দিতে চিকিৎসকদের উপর দায় চাপানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জানুয়ারির শুরুতে মেদিনীপুর হাসপাতালে সন্তান প্রসবের পর পাঁচজন প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে, এক জনের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি, এক সদ্যোজাত শিশুরও মৃত্যু ঘটে। এরপরই হাসপাতালে ব্যবহৃত স্যালাইনের মান নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় এবং চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে ১৩ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়।
ডা. পল্লবীর অভিযোগ, তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে নোটিস পাঠালেও এখনও পর্যন্ত এফআইআরের কপি দেয়নি। আদালত এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলে এবং নির্দেশ দেয়, সোমবারের মধ্যে এফআইআরের কপি তাঁকে দিতে হবে। আদালত রাজ্য প্রশাসনের কাছ থেকে মামলার কেস ডায়েরিও তলব করেছে।
এখন দেখার, হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের রায় কী হয় এবং তদন্ত কী মোড় নেয়।