উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলায় পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ৩০ জন পূণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতার বাসিন্দা ৬৫ বছরের বাসন্তী পোদ্দার। বিরল ‘ত্রিবেণী যোগে’ মৌনী অমাবস্যার পবিত্র স্নান করতে গিয়ে ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
বাসন্তী পোদ্দার কলকাতা পুরসভার ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের অশ্বিনী নগর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। ছেলে, মেয়ে ও বোনের সঙ্গে তিনি মহাকুম্ভে গিয়েছিলেন। ২৯ জানুয়ারি ভোররাতে স্নানের জন্য বিশাল ভিড় জমে, সেই সময় হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়ে গিয়ে পদপিষ্ট হন বাসন্তী দেবী। পরিবারের সদস্যরা জানান, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কাগজ দেওয়া হয়েছে, যেখানে মৃতদেহ হস্তান্তরের কথা উল্লেখ রয়েছে।
মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “গঙ্গাসাগর মেলা থেকে আমি শিখেছি যে বিশাল জনসমাবেশে সুরক্ষা ও পরিষেবার মান সর্বোচ্চ হওয়া প্রয়োজন। এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকাহত।”
এদিকে, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী উত্তরপ্রদেশ সরকারের অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার বদলে ভিআইপিদের সুবিধার দিকে বেশি নজর দেওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।”
মহাকুম্ভে ভিড় সামলাতে প্রশাসনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এখনো পর্যন্ত ৩০ জনের মধ্যে ২৫ জনের পরিচয় জানা গেছে। দুর্ঘটনার পর প্রশাসন অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে। কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্ত বাসন্তী দেবীর বাড়িতে গিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন এবং জানিয়েছেন, “বাসন্তী দেবীর মৃতদেহ আজ কলকাতায় আনার চেষ্টা চলছে।”
এই মর্মান্তিক ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে এবং প্রশাসন আরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠছে।