শনিবার নিজ কর্মজীবনের অষ্টম তম বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে মধ্যবিত্তদের জন্য বড় কিছু ঘোষণা করতে পারেন বলেই মনে করেছিলেন অনেকে। আয়কর কাঠামোয় পরিবর্তন আসার কথাও ছিল। কিন্তু সেই পরিবর্তন যে এতটা বড় অংকের হবে সেটা হয়তো ভাবেননি কেউ। বিরোধীরাও মোটেই আঁচ করতে পারেননি বলাই চলে। রীতিমতো প্রত্যাশাকে অতীত হিসেবে প্রমাণ করে আয় করে এই বিরাট ছাড়ের পেছনে কি কারন রয়েছে? সেটাও ভাবার বিষয়। তাহলে কি দিল্লি কিংবা লোকসভা ভোটের অংকটাও ধীরে ধীরে কষতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ?
এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা করেছেন, ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজকারের ক্ষেত্রে কোনও রকম কর দিতে হবে ন দেশবাসীকে। আরও ৭০ হাজার টাকা ছাড় পাওয়া যাবে ১৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগারে। ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ছাড় মিলবে। তাই বলাই বাহুল্য, পুরোপুরি আয়কর কাঠামোর বাইরেই চলে গেল মধ্যবিত্তর একটা বিরাট অংশ। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করদাতাদের এই স্বস্তি দেওয়ার পেছনে রয়েছে কোন এক কারণ। আর সেটা অবশ্যই দিল্লি ভোটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
দিল্লি সরকারের পাশাপাশি দিল্লিতে হাজারো কেন্দ্রীয় মন্ত্রক রয়েছে। লক্ষাধিক কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। এছাড়াও প্রচুর সংখ্যক জবান এবং অফিসারদের বড় একটা অংশ দিল্লির ভোটার। সব মিলিয়ে ৪৫ শতাংশ ভোটার মধ্যবিত্ত দিল্লিতে। দিল্লির ভোটের নির্ণায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে এই মধ্যবিত্তরাই। বাজেটে বিপুল পরিমাণে ছাড় দিয়ে গেরুয়া শিবিরের জন্য ভোট বাক্স বাড়ানোর পথ সুগম করতে চেয়েছে কেন্দ্র। বিশ্লেষকরা তাই বলছেন। কিন্তু তাতে মধ্যবিত্তের লাভের লাভই হল। একথা অস্বীকার করা যায় না।