ক্রিকেটবিশ্বে একটা কথা প্রচলিত আছে—‘ঠেলার নাম বাবাজি’! ভারতীয় ক্রিকেটের দুই মহারথী বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার ক্ষেত্রেও এবার সেই কথাই সত্যি হলো। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ব্যর্থতা এড়ানোর সুযোগ নেই, তাই প্রমাণ করতে হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেটে। বিসিসিআই (BCCI) স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—জাতীয় দলে টিকে থাকতে চাইলে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতেই হবে।
বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে (BGT 2024-25) দু’জনেরই ব্যাট কথা বলেনি। ব্যর্থতার পর অনেকেই তাদের অবসর নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে বিসিসিআই নতুন সুযোগ দিয়েছে তাদের। ১২ বছর পর দিল্লির হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে নেমেছিলেন বিরাট কোহলি, অন্যদিকে ১০ বছর পর মুম্বাইয়ের হয়ে খেলতে নামেন রোহিত শর্মা।
কিন্তু কামব্যাকটা বিরাট কোহলির জন্য স্বপ্নের মতো হয়নি। ১৫ বলে মাত্র ৬ রান করে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। দর্শকরা আশা করেছিলেন, দ্বিতীয় ইনিংসে তাকে আবার ব্যাটিং করতে দেখা যাবে, কিন্তু সেই সুযোগ আসেনি। দিল্লি প্রথম ইনিংসে ৩৭৪ রান করার পর রেলওয়েজ ১১৪ রানে গুটিয়ে যায়, ফলে দিল্লি ইনিংস ও ১৯ রানে জয়ী হয়।
বিরাটের রঞ্জি খেলার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন প্রাক্তন ক্রিকেটার আম্বাতি রায়ডু। তার মতে, কোহলির ৮১টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি প্রমাণ করে তার টেকনিক যথেষ্ট ভালো। জোর করে কিছু চাপিয়ে না দিয়ে তাকে সময় দেওয়া উচিত, যাতে তিনি নিজের ফর্ম ফিরে পেতে পারেন।
ভারতীয় দলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ও পারফরম্যান্সের প্রশ্নে রঞ্জি ট্রফির এই অধ্যায় কতটা গুরুত্বপূর্ণ হবে, তা সময়ই বলবে।