বরাবরই ভারতকে শুল্কের বাইরে রাখেন ট্রাম্প, বন্ধুত্বের ইঙ্গিত দেন।
এবার সেই বন্ধুত্ব আরোও জোরদার হতে চলেছে। আমেরিকায় রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ পাবে ভারত। ভারতে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে পারে ট্রাম্পের নীতি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখবেন। ট্রাম্প যে প্রথম শুল্ক ঘোষণা করেছেন তাতে ভারতের নাম না থাকাই তার প্রমাণ। একই সঙ্গে মেক্সিকো ও কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ এবং চীনের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
১লা ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া নতুন ব্যবস্থাগুলি মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে এমন দেশগুলির উপর ফোকাস করেছে৷ রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (আরআইএস) অনুসারে, মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতির সবচেয়ে বড় অবদানকারী চীন, মেক্সিকো এবং কানাডা। বাণিজ্য ঘাটতি হল একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, যেখানে সেদেশের আমদানির মূল্য তার রপ্তানির মূল্যের চেয়ে বেশি। এর অর্থ হল দেশটি বিক্রির চেয়ে বেশি পণ্য ও পরিষেবা কিনছে।
সম্প্রতি ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে কথোপকথনও হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ফেব্রুয়ারিতে দুজনের বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। আমেরিকা যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার ভারতকে প্রথম শুল্কের বাইরে রেখে, ট্রাম্প আবার বার্তা দিয়েছেন যে তিনি তাঁর সম্পর্কের ক্ষেত্রে কাকে গুরুত্ব দিতে চলেছেন।
আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতিতে চীনের অবদান ৩০.২ শতাংশ, মেক্সিকোর ১৯ শতাংশ এবং কানাডার ১৪ শতাংশ। আর ৩.২ শতাংশ অবদান নিয়ে ভারত রয়েছে নবম স্থানে। শুক্রবার প্রকাশিত অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুসারে, ভারতের আমদানি শুল্ক নীতি সময়ের সঙ্গে এগিয়ে গিয়েছে। কার্যকরভাবে দেশীয় উদ্দেশ্য এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক একীকরণের প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে এই দিকে অগ্রগতি হয়েছে।
ডিসেম্বরে, নীতি আয়োগ এর সিইও পিভিআর সুব্রহ্মণ্যম বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে বাণিজ্য নীতিগুলি ভারতের জন্য একটি সম্ভাব্য অর্থনৈতিক উত্থানের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এটি বিশ্ব বাণিজ্যের একটি বড় বাণিজ্য মোড়। মেক্সিকো, কানাডা এবং চীনের উপর নতুন শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা। তবে আপাতত শুল্ক থেকে স্বস্তি পেয়েছে ভারত। এতে ভারতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়তে পারে। রপ্তানি এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি ভারতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারে।