শুরু হয়ে গিয়েছে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। ৭০টি আসনেই সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটগ্রহণ পর্ব। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। বিধানসভা ভোট বলে কথা। তাই স্বাভাবিকভাবেই ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। ভোটকেন্দ্রের বাইরে মানুষের লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে সকাল থেকেই। গণতন্ত্রের উৎসবে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অনেক বিশেষ মানুষও ভোট দিতে আসছেন ভোট কেন্দ্রগুলিতে। দিল্লি নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী সহ অনেক বড় নেতা এবং মন্ত্রী ভোট দিয়েছেন দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে।
রাষ্ট্রপতি ভবনের ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে দিল্লি নির্বাচনের জন্য ভোট দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং কালকাজি বিধানসভা আসনের আপ প্রার্থী অতিশী তাঁর ভোট দিয়েছেন ইতিমধ্যেই। নয়াদিল্লি এলাকার একটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। দিল্লি নির্বাচনের জন্য ভোট দিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ।
স্ত্রীর সঙ্গে দিল্লি নির্বাচনের জন্য ভোট দিয়েছেন দিল্লি বিজেপি সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব। ইতিমধ্যেই নিজের ভোট দান পর্ব সম্পন্ন করেছেন কালকাজি আসনের কংগ্রেস প্রার্থী অলকা লাম্বা। নয়াদিল্লি আসনের কংগ্রেস প্রার্থী সন্দীপ দীক্ষিত বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ভোট দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দিল্লির একটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। বিজেপি বিধায়ক বীরেন্দ্র গুপ্ত ভোট দিয়েছেন দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা চরমে। ভোটে জিতলে সাধারণ মানুষকে কি কি উপহার দেবেন তা নিয়ে লম্বা লিস্ট ইতিমধ্যেই প্রকাশ করে ফেলেছেন বিজেপি, কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির বড় বড় নেতারা। সমাবেশ, জনসভা, রাস্তার কোণা মিটিং, রোড শো এবং ঘরে ঘরে প্রচারণার মাধ্যমে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা করা হয়েছে। অবশেষে জনতা জনার্দনের রায় কোন দিকে যায় সেটাই দেখার।