প্রাক্তন বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি সম্প্রতি কিন্নর আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর উপাধি লাভের পর বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। মহাকুম্ভ মেলায় সন্ন্যাস গ্রহণের পর তাঁকে এই উপাধি প্রদান করা হয়েছিল। তবে, মাত্র সাত দিনের মধ্যে আখড়ার অভ্যন্তরীণ বিরোধ ও সমালোচনার জেরে মমতা কুলকার্নি এবং তাঁর গুরু লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠীকে আখড়া থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মমতা কুলকার্নির মহামণ্ডলেশ্বর পদে নিয়োগ নিয়ে আখড়ার সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। অনেকেই তাঁর অতীত এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বাবা রামদেব এবং ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীসহ অন্যান্য ধর্মগুরুরাও এই নিয়োগের সমালোচনা করেন। বাবা রামদেব বলেন, কেউ একদিনে সাধু হন না। এর জন্য বহু বছর ধরে কঠোর তপস্যা করতে হয়। আজকাল আমি দেখছি যে লোকেদের কোনওভাবেই মহামণ্ডলেশ্বর উপাধি দেওয়া হচ্ছে। এমনটা হওয়া উচিত নয়।
এই সমালোচনার জবাবে মমতা কুলকার্নি বলেন, “আমি বাবা রামদেবকে কি বলব? তাঁর মহাকাল এবং মহাকালীকে ভয় করা উচিত।” ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী সম্পর্কে তিনি বলেন, “ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী একজন অপরিণত ছেলে। তার বয়স ২৫ বছর হবে। আমি ২৫ বছর ধ্যান করেছি। আমার পরামর্শ হল তিনি তাঁর গুরুকে জিজ্ঞাসা করুন যে আমি কে এবং চুপ থাকুন।”
এই বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে জুনা আখড়ার তরফে জানানো হয় যে, মমতা কুলকার্নি এবং লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠীকে আখড়া থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা ঋষি অজয় দাস বলেন, ত্রিপাঠী প্রতিষ্ঠাতার সম্মতি ছাড়াই মমতাকে মহামণ্ডলেশ্বর করেছিলেন, যা আধ্যাত্মিক সম্প্রদায়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯০-এর দশকে ‘করণ অর্জুন’ এবং ‘বাজি’র মতো হিট ছবিতে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন মমতা কুলকার্নি। তবে, মাদক বিতর্কে নাম জড়ানোর পর ২০০০ সালের গোড়ার দিকে তিনি বলিউড থেকে দূরে সরে যান।
বর্তমানে, মহামণ্ডলেশ্বর পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর মমতা কুলকার্নির ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে জল্পনা চলছে। ধর্মীয় সম্প্রদায়ে এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।