সস্তা ঋণের সুবিধা পাবেন মধ্যবিত্তরা! রেপো রেট কমিয়ে মধ্যবিত্তদের বড় স্বস্তি দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। শুক্রবার মুদ্রানীতি কমিটির (এমপিসি) বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই তথ্য দিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা। তিনি বলেন, রেপো রেট ০.২৫শতাংশ কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই হ্রাসের পর, রেপো রেট ৬.৫০ শতাংশ থেকে কমে ৬.২৫ শতাংশ হয়েছে। এবার ঋণ পাওয়া সস্তা হবে সাধারণ মানুষের জন্য। এছাড়াও হ্রাস পাবে EMI বোঝা।
প্রায় ৫ বছর পর রেপো রেট কমালো আরবিআই। শেষবার ২০২০ সালের মে মাসে ০.৪০ শতাংশ কমানো হয়েছিল রেপো রেট। তবে, এর পরে ২০২২ সালের মে মাসে রেপো রেট বাড়ানো হয়েছিল। রেপো রেট শেষবার ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেই সময় তা বাড়িয়ে ৬.৫০ শতাংশ করা হয়েছিল। তারপর থেকে শেষ এমপিসি সভা পর্যন্ত এতে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। শেষ সভাটি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, রেপো রেট হলো সেই হার যার ভিত্তিতে অন্যান্য ব্যাংককে ঋণ দেয় রিজার্ভ ব্যাংক। যদি আরবিআই কম সুদে টাকা ধার দেয়, তাহলে ব্যাংকগুলিও কম সুদে গ্রাহকদের ঋণ প্রদান করে। এর মধ্যে রয়েছে গৃহ ঋণ, গাড়ি ঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ ইত্যাদি। রেপো রেট হ্রাসের ফলে বড় সুবিধা পায় মধ্যবিত্তরা। কারণ তাতে EMI এর বোঝা কমে। অন্যদিকে, বাজারে লিকুইড মানি বৃদ্ধি পায়।
অর্থনীতি খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে গেলে, অর্থ প্রবাহ বৃদ্ধি করে তা পুনরুদ্ধার করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে, রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে দেয়। সুদের হার কমার কারণে ঋণ সস্তা হয় এবং EMI এর বোঝা কমে যায়। অন্যদিকে যখন মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পায়, তখন রিজার্ভ ব্যাংক রেপো রেট বাড়িয়ে অর্থ প্রবাহ কমিয়ে দেয়।
খুচরা মুদ্রাস্ফীতির হার এবং পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার উভয়েরই পরিবর্তন ঘটেছে ডিসেম্বরে। খুচরা মুদ্রাস্ফীতির হার ৪ মাসের সর্বনিম্ন ৫.২২ শতাংশ। একই সময়ে, পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়ে ২.৩৭ শতাংশ হয়েছে। নভেম্বরে এটি ছিল ১.৮৯ শতাংশ।
এর আগে, মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে আয়কর ছাড় দিয়ে খুশি করেছে সরকার। বাজেটে সরকার ঘোষণা করে, বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কারীদের আয়কর দিতে হবে না। তবে, এর সুবিধা আয়করের নতুন ব্যবস্থার অধীনে পাওয়া যাবে।
কর স্ল্যাবেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর ফলে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কারীরা ১.১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারবেন। একই সাথে, ১৮ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয়ের একজন ব্যক্তি ৭০,০০০ টাকা কর সুবিধা পাবেন। এমন পরিস্থিতিতে, সরকার নতুন করের স্ল্যাব চালু করে এবং আয়করে ছাড় দিয়ে মধ্যবিত্তদের খুশি করার চেষ্টা করেছে।