তৃণমূলের অন্দরে ধীরে ধীরে জমে থাকা দ্বন্দ্বের অবসান কি সম্ভব? দলীয় কোন্দল কি প্রভাব ফেলবে ছাব্বিশের নির্বাচনে? ঠিক ভোটের আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার শিবিরকে একজোট রাখতে মোশারফ মডেলের পথে হাঁটতে বললেন। ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেনের এই মডেলকেই তৃণমূলের রণকৌশল হিসেবে ধরা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা কোনও দলের অন্দরেই দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। সিপিএমের অন্দরেও এই ভাঙন দেখা গিয়েছিল। এবার সেই সমস্যাই গ্রাস করেছে তৃণমূলকে। দলের একাংশ অসন্তুষ্ট। শাসকদলের ভিতরে ভিতরে চলা অন্তর্ঘাত ঠেকাতেই এবার ‘মোশারফ মডেল’-এ ভরসা রাখছেন নেত্রী।
কিন্তু কী এই মোশারফ মডেল? বিধায়ক মোশারফ হোসেনের দাবি, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করলেই কর্মীদের মধ্যে দূরত্ব ঘুচবে। তিনি বলেন, নিম্নস্তরের কর্মীদের সঙ্গে মাটিতে বসে আলোচনা করতে হবে। তাঁদের সমস্যা শুনতে হবে। তাঁদের মতামত গুরুত্ব পেলেই অন্তর্ঘাত রোখা সম্ভব।
তাঁর আরও দাবি, অনেক সময় দলীয় কর্মীরাই পিছন থেকে ছুরি মারে। ফলে দলের জনপ্রতিনিধিরা পরাজিত হন। কর্মীদের উজ্জীবিত করতে এই পদ্ধতি কার্যকরী হয়েছে।
বস্তুত, তৃণমূলের মূল শক্তি সংখ্যালঘু ভোট। আর সেই ভোট যে এবারও মমতার দিকেই থাকবে, সে ইঙ্গিতও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মোশারফ। তাঁর মতে, ‘সংখ্যালঘুরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আছেন। বাংলায় তাঁর বিকল্প নেই। সংখ্যালঘুরা তাঁকে রক্ত দিয়ে রক্ষা করবে।’
তবে মোশারফ মডেল সত্যিই দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধান করতে পারবে কি না, তা সময়ই বলবে। আপাতত ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে এই মডেল তৃণমূলের অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে কি না, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।