রাজ্য বাজেটে সরকারি কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। বুধবার বাজেট ভাষণে অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানালেন, রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) ৪ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে এই নতুন হার কার্যকর হবে। তবে এই ঘোষণায় খুশি হতে পারেননি রাজ্যের বহু সরকারি কর্মী। কারণ, কেন্দ্রীয় কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের ডিএ-র ফারাক ৩৫ শতাংশ থেকে যাচ্ছে।
ডিএ-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। কখনও ধরনা, কখনও রাস্তায় মিছিল, কখনও আইনি লড়াই—দাবি একটাই, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষ বাজেটে রাজ্য সরকার ডিএ বাড়ানোর ঘোষণা করবে, এমনটাই অনুমান করছিলেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। সেই জল্পনাই সত্যি হলো বুধবার। তবে সরকারি কর্মীদের একাংশের মতে, এই সিদ্ধান্ত তাঁদের সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান করছে না।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৫৩ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন, আর রাজ্য সরকারি কর্মীরা ১৪ শতাংশ। ৪ শতাংশ বৃদ্ধির পরেও এই ফারাক থাকবে ৩৫ শতাংশ। তাই এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন আন্দোলনরত কর্মীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, মূল্যবৃদ্ধি সব জায়গায় সমান। তাহলে ডিএ-র ফারাক কেন থাকবে? যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা আন্দোলন আরও জোরদার করবেন।
এদিকে, বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়নি, যা নিয়েও সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিরোধীদের মতে, সরকারি কর্মীদের ন্যায্য পাওনা না দিয়ে ভোটের আগে প্রতীকী বাড়বাড়ন্ত দেখানো হচ্ছে। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, সীমিত অর্থের মধ্যেই যতটা সম্ভব সাহায্য করা হচ্ছে।