বর্তমানে আমেরিকা সফরে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করেন। সাক্ষাৎকালে দুই নেতার মধ্যে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। শুক্রবারের এই বৈঠকের পর, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ সম্পর্কেও প্রশ্ন করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে আদানির বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে কিনা? প্রধানমন্ত্রী মোদীও এর জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। আমাদের সংস্কৃতি ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর। আমরা পুরো বিশ্বকে একটি পরিবার হিসেবে বিবেচনা করি। আমি বিশ্বাস করি যে প্রতিটি ভারতীয় আমার নিজের। দুই দেশের দুই বড় নেতা কখনও এ ধরনের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন না।”
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের আমলে আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল মার্কিন বিচার বিভাগ। অভিযোগ ছিল যে, সৌরবিদ্যুৎ চুক্তিতে সুবিধা পেতে আদানি ভারতীয় কর্মকর্তাদের ২৫০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২১০০ কোটি টাকা) ঘুষ দিয়েছিলেন। এই ঘুষ আমেরিকান ব্যাংক এবং বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে গোপন করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের জন্য আদানি গ্রুপ এই ব্যাংক এবং বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছিল। এই গোপনতার কারণেই আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
ঘুষের অভিযোগ সামনে আসার কয়েক মাস পরেই ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হন। তিনি একটি আদেশে স্বাক্ষর করেন। এই আদেশের ফলে বিচার বিভাগ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য যে আইনের অধীনে কাজ করছিল তা কার্যকর করতে পারছিল না। এই আইনটি প্রায় পঞ্চাশ বছরের পুরনো।
ট্রাম্পের আদেশে বলা হয়েছে, “এফসিপিএ’র অধীনে তদন্ত এবং পদক্ষেপের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের নির্দেশিকা এবং নীতি পর্যালোচনা করা উচিত।” এই পর্যালোচনাটি ১৮০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। আদেশে আরও বলা হয়েছে, ‘তদন্তের এই সময়কালে, অ্যাটর্নি জেনারেল FCPA-এর অধীনে কোনও নতুন তদন্ত বা পদক্ষেপ শুরু করবেন না।” তবে, যদি অ্যাটর্নি জেনারেল মনে করেন যে কোনও বিশেষ মামলা আছে, তাহলে তিনি ব্যতিক্রম করতে পারেন।”