মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা ৫১। প্রথম এসএমএস আশে ইংলিশ বাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর ফোনে। সেখানেও খুনের হুমকি।
তিন দিনের মাথায় আজ সকাল ঠিক ১০ টা ৪০ নাগাদ ডি কোম্পানির নাম করে ফোন আশে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর কাছে এবং সেখানেও খুনের হুমকি। ফোন করে অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি হিন্দিভাষায় বলে ” কৃষান বল রাহাহে। আপনে মেরা এসএমএস ন্যাহি দেখা হ্যা। আব জলদি সে ২০ পেটি ভেজ দিজিয়ে। ন্যাহি তো কাল আপকা উসকে সাথ আপকা ফ্যামিলি কা লাশ মিলেগা”। পুরাতন মালদার নিজস্ব ফার্ম হাউস যাওয়ার পথে এই ফোন পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী। ইংলিশ বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। লিখিত অভিযোগ পেয়েই জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা নেতাজি মোড় এলাকায় কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরীর বাসভবনে এসে নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখেন এবং তদন্ত শুরু করেন। তদন্তে ময়দানে নামে রাজ্য পুলিশের এসটিএফও। কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী জানান এর আগেও আমি একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছি। আমাকে লক্ষ্য করে গুলি বোমা চালানো হয়েছে তবে মাঝে এসব বন্ধ ছিল। এই ঘটনার পর অবশ্যই আমার ফ্যামিলি নিয়ে আমি দুশ্চিন্তায় রয়েছি। কারন আমার ছেলে মেয়েরা বাইরে থাকে। এই বিষয়টি ইতিমধ্যেই আমি রাজ্য নেতৃত্বে কেও জানিয়েছি।
অন্যদিকে এই বিষয় বিজেপি দক্ষিণ মালদার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী জানান, কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরীর মত প্রভাবশালী একজন নেতাকে যদি ফোন করে খুনের হুমকি দেওয়া হয় তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়। আমরা আগে থেকেই বলছি জেলার আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।
উল্লেখ্য বছরের শুরুতেই ২ রা জানুয়ারি তাড়া করে খুন করা হয়েছিল ইংলিশ বাজার পৌরসভার কাউন্সিলর দুলাল সরকারকে। ভয়াবহ সেই ঘটনার পর এমনিতেই আতঙ্কে ছিলেন শহর এবং জেলার জনপ্রতিনিধিরা। এরই মধ্যে এবারে জেলার আরো এক প্রভাবশালী নেতাকে রীতিমতো ফোন করে খুনের হুমকি দেওয়ায় গোটা জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিকে জানা গেছে দুলাল সরকার খুন হওয়ার পর একজন নিরাপত্তার রক্ষি বাড়ানো হয়েছিল কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরীর। আজকের এই ঘটনার পর আরও তিনজন নিরাপত্তা রক্ষী বাড়ানো হয়েছে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে খবর। আজ থেকে কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর মোট ছয় জন নিরাপত্তা রক্ষি ২৪ ঘন্টা কাছে থাকবে বলে জানা গেছে।