নাচ গান হৈ হুল্লোড় সহ বিপুল উন্মাদনার মধ্য দিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে সম্পন্ন হলো অযোধ্যা পাহাড়ের নাইট ম্যারাথন। পুরুলিয়া পুলিশের উদ্যোগে হওয়া এই নাইট ম্যারাথন সফল করতে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল পুরুলিয়া পুলিশ। জোর কদমে হয়েছে প্রচার। সেই মতো পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিযোগির অংশ গ্রহণে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় ১৪ কিলোমিটারের নাইট ম্যারাথন। অযোধ্যা পাহাড়ের হিল টপ থেকে আপার ড্যাম এবং আপার ড্যাম থেকে আবার হিলটপ পয়েন্ট পর্যন্ত মোট ১৪ কিলোমিটার পাহাড়ের আঁকা বাঁকা পথের রাতের দৌড়ে অংশ নেয় দূর দূরান্তের বহু প্রতিযোগী। ম্যারাথনের প্রথম হন উত্তরপ্রদেশে মির্জাপুরের বাসিন্দা বিকাশ প্যাটেল, মহিলাদের মধ্যে প্রথম হন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা শম্পা।
এক সময় অযোধ্যা পাহাড় ছিল মাওবাদীদের খাস তালুক। ২০০০-২০১১পুরো পাহাড় ছিল মাওবাদীদের দখলে। রাজ্যে বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরই শান্তি ফিরে অযোধ্যা পাহাড়ে। দিনের বেলায় যে পাহাড়ে পৌঁছানো ছিল এক প্রকার চ্যালেঞ্জ সেই পাহাড়ের বুকেই নাইট ম্যারাথন করে ব্যাপক সাফল্য পেল পুরুলিয়ার পুলিশ। নাইট ম্যারাথন করে এই বার্তায় দেওয়া হলো শান্তি ফিরছে জঙ্গলমহলের জেলা পুরুলিয়ার শাল পলাশের অযোধ্যা পাহাড়ে। এখন আর মাওমুলুক নয়। অযোধ্যা পাহাড় এখন পর্যটনের সেরা ডেসটিনেসন। মাওবাদীদের জমানায় অনেক পুলিশকর্তায় পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন পুরুলিয়ায়। যারা অনেকেই এখন রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক পদে রয়েছেন।সেই সব আধিকারিকরাও অযোধ্যা পাহাড়ের নাইট ম্যারাথনে উপস্থিত থেকে মাও জমানার বৃত্তান্ত তুলে ধরেন। উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়ার প্রাক্তন পুলিশ সুপার বিনীত গোয়েল,অশোক প্রসাদ, সুনীল চৌধুরীরা। বাংলার বুকে প্রথম অযোধ্যা পাহাড়ের এই নাইট ম্যারাথনের উদ্যোক্তা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরুলিয়ায় মাও দমনেও তার ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। অযোধ্যা পাহাড়ের নাইট মারাথনের জন্য পুলিশ সুপারকে কুর্নিশ জানালেন অনেকেই।
Leave a comment
Leave a comment